নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে ইমামদের বাল্যবিয়ে না পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। গতকাল বুধবার উপজেলার সকল মসজিদের সভাপতিকে পাঠানো ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা স্বাক্ষরিত একটি পত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সখীপুর উপজেলার প্রায়শই মসজিদের ইমাম ও মুন্সিগণ অপ্রাপ্ত বয়স্ক বর ও কনের কাবিননামা ব্যাতিরেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বাল্যবিয়ে পড়াচ্ছেন। এতে করে মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাল্যবিয়ে শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। সখীপুরের কোন ইমাম ও মুন্সি যাতে কোন ভাবে জন্ম নিবন্ধন/ কাবিন ব্যতিরেকে বিয়ে সম্পন্ন না করে এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হলো। কোন মসজিদের ইমাম ও মুন্সি বাল্যবিয়ের সাথে জড়িত থাকলে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ১১ নং ধারা অনুযায়ী অনধিক (২) দুই বছর অন্যুন ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং তাঁর নিয়োগ বাতিল হবে। কোন মসজিদের ইমাম ও মুন্সি বাল্যবিয়ের সাথে জড়িত থাকলে উক্ত মসজিদের সভাপতিকেও এ দায়ভার বহন করতে হবে। এ বিষয়ে সকল মসজিদ কমিটি জরুরি বৈঠক করে তাদের কার্যক্রম নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করা হলো। সখীপুরে কোনোক্রমেই বাল্যবিয়েকে বরদাস্ত করা হবে না। এর ব্যতয় হলে সভাপতি ও মসজিদ কমিটির সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মুজিববর্ষে সরকার বাল্যবিয়ে শূণ্যের কোঠায় আনার জন্য কাজ করেছে। তাই যে কেউই বাল্য বিয়ের সাথে জড়িত থাকুক না কেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এসময় সখীপুরকে বাল্যবিয়ে শূণ্যের কোঠায় আনার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
Leave a Reply