নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুজন (১১) পানিতে ডুবে মারা যায়নি। শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার লাশ ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার তিন মাস ১৭দিন পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী এক বাক্প্রতিবন্ধী শিশুর দেওয়া তথ্য অনুসারে সুজনের বাবা আন্নাছ আলী বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ (১২) ও তার বাবা সিরাজুল ইসলামকে (৪০) আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই রাতেই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠায়। নিহত সুজন মিয়া উপজেলার গড়বাড়ি গ্রামের আন্নাছ আলীর ছেলে ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অন্যদিকে আসামিদের বাড়ি পাশের দিঘীরচালা গ্রামে। আসামি আবদুল্লাহ দিঘীরচালা দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন জানান, উপজেলার গড়বাড়ি গ্রামের আন্নাছ আলীর ছেলে সুজন গত ২৪ এপ্রিল নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে পাশের গড়বাড়ি বখতিয়ার পাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে সুজনের লাশ পাওয়া যায়। সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, এ ঘটনায় আবদুল্লাহ ও তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ওরফে সুরুজকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবদুল্লাহর বয়স কম থাকায় শুধু বাবা সিরাজুল ইসলামকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে আবদুল্লাহকে (১২) গাজীপুরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রিমান্ড শেষ হলে এ ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
Leave a Reply