মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নেমেছেন।
মামলার প্রধান আসামি ওই নারীর সাবেক স্বামী মনির হোসেন (২৫)। তাঁর বাড়ি উপজেলার সিলিমপুর গ্রামে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে ওই নারীর মনির হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। মাস ছয়েক সংসার করার পর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বছর খানেক আগে ওই নারী আরেকটি বিয়ে করেন। মনিরকে ছেড়ে আরেকটি বিয়ে করায় প্রতিশোধ নিতে নানা পরিকল্পনা করে মনির। এক পর্যায়ে দুই মাস আগে মনির ওই নারীর মুঠোফোন সংগ্রহ করে ফোন দেয়। পুনরায় বিয়ে করার জন্য ফোনে প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে ওই নারী মনিরের প্রেমের ফাঁদে পড়েন।
মনির গত সোমবার রাতে ওই নারীকে বিয়ে করার কথা বলে স্বামীর বাড়ি থেকে ভাগিয়ে এনে সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে তোলেন। রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চার বন্ধু মিলে সারারাত পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার দুইদিন পর গতকাল বুধবার রাতে বর্তমান স্বামীকে নিয়ে থানায় এসে গণধর্ষণের মামলা করেন।
মেয়েটি পুলিশকে জানায়, সে সাবেক স্বামীর খপ্পড়ে পড়েছিল। তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করায় এর চরম প্রতিশোধ নিতে মনির তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেন। পরিকল্পিতভাবে বন্ধুদের আগেই সে প্রস্তুত করে রেখেছিল।
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এইচ এম লুৎফুল কবির আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, এটা একটা পরিকল্পিত গণধর্ষণ। সাবেক স্ত্রীর ওপর প্রতিশোধ নিতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুইজন আসামি আমাদের নজর বন্দিতে রয়েছেন।
Leave a Reply