নিজস্ব প্রতিবেদক: ইঞ্জিনিয়ার লুৎফর রহমান (৭৮) আর নেই। গতকল শুক্রবার বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাহ ইলায়হে রাজেউন)। গতকাল বাদ আছর তাঁকে ঢাকা বনানী গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মরহুমের নামাজে জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে ডেসকোর পরিচালক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী আতাউল মাহমুদ, লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর সিআইপি, অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার হাবিবুর রহমান কামাল, এমএন্ডএম ইয়ার্ন ডাইং মিলস্ লিমিটেডের এমডি মুহাম্মদ আল-মামুন, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার লুৎফর রহমান ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার টাঙ্গাইল মহুকুমার অন্তর্গত কালিহাতী থানার বহেড়াতৈল ইউনিয়নস্থ ঐতিহাসিক বেতুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তারা বাবা নাম আলহাজ্ব মৌলভী এনায়েত হোসেন ও মায়ের নাম মোসাম্মৎ খাদিজা বেগম। ইঞ্জিনিয়ার লুৎফর রহমান এলাকার একজন অহংকার ও কৃতিসন্তান ছিলেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৫৮ সনে ১৫তম স্থান দখল করে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে ২০তম স্থানসহ আই,এসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৪ সনে প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয় হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি অর্জন করতঃ সামরিক প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকুরী গ্রহণ করেন। অত্যন্ত দক্ষতা,কর্মস্পৃহা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সনে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। পেশাগত কারণে তিনি ১৯৯৫ সালে তুরস্ক ভ্রমণ করেন। কর্মজীবনে নিজ এলাকার অসংখ্য শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন নামকরা ব্রিজ খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ‘ঢাকাস্থ সখীপুর সমিতি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
পারিবারিক জীবনে তিনি অত্যন্ত সুখী ও সমৃদ্ধশালী জীবন অতিবাহিত করেছেন। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী নাজমি আরা বেগম, তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বড়ো মেয়ে রুমী ইঞ্জিনিয়ার, মেজো মেয়ে সিমি ডাক্তার এবং ছোট মেয়ে লিডিয়া ডাক্তার হিসেবে সেনাবাহিনীতে কর্মরত। একমাত্র ছেলে পলাশ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ আমেরিকা হতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে হিউস্টনে কর্মরত।
মানব দরদী,পরোপকারী,মিষ্টভাষী,সদালাপী, স্বজন ও বন্ধুবৎসল, মহানুভব এই মহৎপ্রাণ ব্যক্তির আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকাবাসী গভীরভাবে শোকাহত।
Leave a Reply