নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ‘ঘরে মশা, বাইরে মশা, যেখানে যাচ্ছি সেখানেই মশা। মশা মারতে গিয়ে কখনও গালে, কখনও কপালে আবার কখনও কানে নিজের চড় নিজেকেই খেতে হচ্ছে। কয়েল-মশারি দিয়েও কিছু হচ্ছে না। মশার গুন গুন শব্দে রাতে ঘুম আসে না। পৌর কর্তৃপক্ষও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না! যেন মশার রাজ্যে বাস করছি!’ টাঙ্গাইলের সখীপুর কাঁচা বাজার এলাকার একটি চা স্টলে বসে কথাগুলো বলছিলেন কয়েকজন ব্যক্তি। অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় চলতি সময়ে পৌর শহরে বেড়েছে মশার উপদ্রব। প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভার বাসা-বাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবখানেতেই মশার দাপট। কয়েল, মশারিতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। মশার উৎপাতে অতিষ্ট। অথচ মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। মশার কাছে অসহায় জীবনযাপন করছে পৌরবাসী। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা বেহাল। ড্রেনে জমে আছে ময়লার স্তূপ ও পঁচাপানি। ড্রেনের দূষিত পানি পৌর শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পড়ছে। ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় লাখ লাখ মশা বংশ বিস্তার করছে। সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা বাসা বাড়িতে প্রবেশ করছে। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরাও। পড়ালেখা বাদ রেখে মশা মারায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে তারা। মশার উপদ্রবে অতিষ্ট এক স্কুলশিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মশার কারণে সারাদিন ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কয়েলের গন্ধ সহ্য করতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে ছেলে-মেয়েসহ সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ব!’ রহিম আলী নামে এক চা বিক্রেতা বলেন, মশার উপদ্রবে সন্ধ্যার পর দোকানে দাঁড়ানোই দায়। মনে হয় মশা তুলে নিয়ে যাবে। এখন মশার রাজ্যে বাস করছি আমরা।জানতে চাইলে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ বলেন, আমি নিজেও পৌর শহরে বাস করি। মশার উপদ্রব সত্যিই বেড়েছে। ফগার মেশিন দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply