সোমবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
Homeসখীপুরযৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে আটকে রেখে নির্যাতন

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে আটকে রেখে নির্যাতন

- Advertisement -spot_img

pic Sakhipur .18.04.ddddd17 (3)

  • নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে যৌতুকের দাবিতে সালেহা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে দুইদিন ধরে বাড়িতে আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ওই গৃহবধূর বাবা আবদুল হামিদ সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ গুরুতর আহত সালেহাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অমানসিক নির্যাতনের যন্ত্রনায় সে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে উপজেলার ইন্দারজানি গ্রামের দিন মজুর আবদুল হামিদের মেয়ে সালেহা আক্তারের সঙ্গে একই এলাকার মাসুম আলীর ছেলে লিটন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে সালেহার স্বামীকে ৬০ হাজার টাকা দেন। বিয়ের কিছুদিন পরই লিটন ও তার পরিবার আরও ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের ওই টাকা না দেওয়ায় প্রায়ই সালেহার ওপর অমানসিক নির্যাতন করা হত। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা সালিশি বৈঠকও হয়েছে। সোমবার সকালে স্বামী লিটন, দেবর রিপন, শ্বশুর মাসুম মিয়া মিলে মারধর করে সালেহাকে গুরুতর জখম করে। চিকিৎসা না দিয়ে তাকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে ছালেহার বাবা পুলিশের সহায়তায় মঙ্গলবার বিকেলে ছালেহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
    হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালেহা জানান, ‘বাবার কাছ থেকে টাকা আইনা না দেয়ায় সবাই মিলা আমারে মারছে। ডাক্তারের কাছেও আনে নাই।’
    ছালেহার বাবা আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘অনেক কষ্টে বিয়ের সময় মেয়ের জামাইকে ৬০ যৌতুক দিই। এরপর আরও টাকা চেয়ে ওই পরিবারের সবাই মিলে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে। আমি একজন দরিদ্র মানুষ। এত টাকা কোথায় পাব।’
    সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েই মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
Must Read
- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img