সখীপুর বার্তা পদক পাচ্ছেন ৮ গুণীজন
- Advertisement -

- নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে ‘সখীপুর বার্তা’ পদক পাচ্ছেন সখীপুরের আট গুণী ব্যক্তিত্ব। আগামীকাল ১৬ মে (মঙ্গলবার) সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওই আট গুণীজনকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হবে। নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক ইমদাদুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুণীজনদের হাতে পদক তুলে দিবেন। পদকপ্রাপ্তরা হলেন- তিলোত্তমা সখীপুরের রূপকার হিসেবে কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান (মরণোত্তর), সমাজসেবায় সালাউদ্দিন আলমগীর সিআইপি, শিক্ষা গবেষণায় প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, চর্যাপদ গবেষণায় প্রফেসর আলীম মাহমুদ, সাংবাদিকতায় ড. হারুন রশীদ, সাহিত্যে লুৎফর চৌধুরী, কৃষিতে মো. দেলোয়ার হোসেন ও জনহিতকর কাজে তুহিন সিদ্দিকী। গত ১ ফেব্রুয়ারি সখীপুর বার্তা পরিবারের এক সভায় পদকপ্রাপ্তদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সখীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সখীপুর বার্তার সম্পাদক শাকিল আনোয়ারের সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, পৌর মেয়র আবু হানিফ আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাকছুদুল আলম, জেলা অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি রেনুবর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমও গণি বরেণ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সখীপুর বার্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, আধুনিক ও তিলোত্তমা সখীপুরের রূপকার হিসেবে কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান (মরণোত্তর) সখীপুর বার্তা সম্মাননা পদক পাচ্ছেন। তিনি সখীপুর-বাসাইল থেকে চারবার আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি সখীপুরের শিল্প সাহিত্য শিক্ষা সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নেও তাঁর ভূমিকা স্মরণীয়। তিলোত্তমা ও আধুনিক সখীপুর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন।
সমাজসেবায় সখীপুর বার্তা সম্মাননা পদক পাচ্ছেন লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর সিআইপি। তিনি সখীপুরের দরিদ্র ও বয়স্কদের মধ্যে বয়স্ক ভাতা শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ মন্দিরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে দীর্ঘদিন ধরে অনুদান প্রদান করে আসছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত লাবীব গ্রুপে সখীপুরের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত ছেলে-মেয়েকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও সমাজসেবামূলক কাজে রয়েছে তাঁর ব্যাপক অবদান।
শিক্ষা গবেষণায় সম্মাননা পদক পাচ্ছেন প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিন বাংলা সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করছেন। ইতোমধ্যে বাংলা সাহিত্য ও নাটকের ওপর তাঁর অসংখ্য গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।
চর্যা গবেষণায় সম্মাননা পদক পাচ্ছেন প্রফেসর আলীম মাহমুদ। তিনি প্রায় দুই যুগ ধরে বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করছেন। তিনি চর্যাকারগণের নির্ধারণ করে দেওয়া রাগ অভিন্ন রেখে সব ক’টি ‘চর্যাপদ’কে চর্যাগানে রূপদান করেছেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনিই প্রথম এ গবেষণার কাজটি সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি কাজ করছেন। প্রফেসর আলীম মাহমুদ বর্তমানে সরকারি সা’দত কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্যে পদক পাচ্ছেন সখীপুরের আরেক কৃতি ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক ও কলামিস্ট ড. হারুন রশীদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা করছেন। এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকার নিয়মিত কলামিস্ট, নিয়মিত টিভি উপস্থাপক ও আলোচক। সখীপুরের সাংবাদিকতার গোড়াপত্তনেও রয়েছে তাঁর বিশেষ অবদান। ড. হারুন রশীদ বর্তমানে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ -এর সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাহিত্যে সম্মাননা পদক পাচ্ছেন লুৎফর চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সাহিত্য চর্চার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ইতোমধ্যেই তাঁর বেশ কয়েকটি গল্প, প্রবদ্ধ ও শিশুতোষ বই বাজারে এসেছে। সখীপুর বার্তার পক্ষ থেকে লুৎফর চৌধুরীকে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্যে সম্মাননা পদক করছেন।
সখীপুরে কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে পদক পাচ্ছেন মো. দেলোয়ার হোসেন। কৃষি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি গবেষণা করছেন। বিশেষ করে আম চাষে অভূতপূর্ব বিপ্লব ঘটাতে তাঁর রয়েছে বিশেষ অবদান। বর্তমানে তাঁর এককভাবে নয় হাজার আমগাছ রয়েছে। দেশের আমের চাহিদা মেটাতে তিনি ভূমিকা রাখছেন।
অন্যদিকে জনহিতকর কাজে বিশেষ অবদান সখীপুর বার্তা পদক পাচ্ছেন তুহিন সিদ্দিকী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনার পাশাপাশি অসুস্থ্য রোগীদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি, রক্ত সংগ্রহ ও চিকিৎসা সহযোগিতা করছেন। তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের পরামর্শ দেন এবং খোঁজ খবর রাখেন। তুহিন সিদ্দিকী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -