নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামালের (৬৬) নির্মম হতাকা-ের আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ ও ডিবি। তাঁর একমাত্র ছেলে পল্লী চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আহাজারি করছেন- ‘কোথায় পাবো বাবা হত্যার বিচার?’
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ শে নভেম্বর বিকেলে উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সখীপুরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মোস্তফা কামাল নিখোঁজ হন। পরে ১ ডিসেম্বর ওই এলাকার একটি নির্জন বনের পাশ থেকে গলাকাটা অবস্থায় তাঁর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নির্মম এ হত্যাকা-ের পর রহস্য উদঘাটন ও বিচারের দাবিতে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা বারবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেছেন। সর্বশেষ গত মার্চ মাসেও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিছিল নিয়ে ইউএনও কার্যালয় ও সখীপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। কিন্তু গত আড়াই বছরেও এ হত্যাকা-ের কোনো রহস্য উদঘাটন হয়নি।
মোস্তফা কামালের ছেলে রফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর ওই সময় সখীপুর থানা-পুলিশ ইচ্ছেমত কয়েকজনকে ধরেছে আর ছেড়েছে। গত দুই বছর ধরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করছে। এরমধ্যে চারজন তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও কোনো আশার খবর পাইনি।’
সখীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম ও গণি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশ ও ডিবি পুলিশও যদি হত্যার রহস্য বের করতে না পারে তবে আমরা আর কোথায় যাবো!’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম জানান, ‘সখীপুর থানায় মামলাটি মাত্র ছয় মাস ছিল। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন বলেন, মামলাটি নিয়ে জোর তদন্ত চলছে। আশা করা যায়, খুব দ্রুত একটা ফলাফল পাওয়া যাবে।’
-এসআইএস/..