শনিবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
Homeকৃষিশখের কবুতরে বাড়তি আয়

শখের কবুতরে বাড়তি আয়

- Advertisement -spot_img

সখীপুর বার্তা ডেস্ক: শখের বশে বাড়ির ছাদে কবুতর পালন করে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন সখীপুর পৌরসভার স্ট্যাম্প ভেন্ডার রফিকুল ইসলাম। শখের বশে গড়ে তোলা তার কবুতরের খামারের নাম দিয়েছেন ‘সখী রেসার ফার্ম’। তার খামারে বিচিত্র রঙের দেশি-বিদেশি একাধিক প্রজাতির ১৬০টি কবুতর রয়েছে। শুধু আনন্দ-উপভোগ করার উদ্দেশ্যে কবুতরের খামার গড়ে তুললেও বর্তমানে ছোট্ট নান্দনিক এ খামারটি বাড়তি আয়ের পথ দেখিয়েছে রফিকুলকে। খামার থেকে প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি । রফিকুলের পাশাপাশি স্ত্রী বিলাসী আক্তারও কবুতর লালন-পালনের কাজে সহযোগিতা করছেন।
রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি প্রথমে ১৯৮৩ সালে স্থানীয় বহেড়াতৈল বাজার থেকে দেশি জাতের এক জোড়া কবুতর ৫ টাকায় কিনে এনে পালন করতে থাকেন। পরে সেই কবুতরের এক জোড়া বাচ্চা হয়। বড় করে সেই কবুতরের বাচ্চা জোড়া তিনি বেশ কিছু টাকায় বিক্রি করেন। তখন থেকে মাথায় আসে কবুতর পালনের কথা। বর্তমানে তার খামারে দেশি-বিদেশি একাধিক প্রজাতির ১৬০টি কবুতর রয়েছে, যা থেকে তিনি মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন।
তিরি আরও জানান, কবুতরের খামারে কোনো দুর্গন্ধ নেই। তাই এটি পরিবেশবান্ধব। দলিল লিখে কোনোভাবে তাদের সংসার চলছিল। কবুতরের খামারের আয় দিয়ে তার ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছেন। সংসারেও ফিরে এসেছে সচ্ছলতা। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে তার কবুতরের খামার দেখার জন্য শত শত লোকজন ছুটে আসেন। তারা জানতে চান কবুতর চাষের কলাকৌশল। তিনি বিদেশি জাতের কবুতর দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার পাইকারদের কাছে ১ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা জোড়ায় বিক্রি করেন। খামারে কবুতর পালনের জন্য শুধু বাঁশ ও কাঠ দিয়ে খাঁচা আর কবুতর বসার জন্য উঁচু দুইটি ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওকিল উদ্দিন জানান, কবুতর পালনে কোনো ঝুঁকি নেই। কবুতর পালনে খরচ কম লাভ বেশি। সমাজের বহু লোক শখের বশে কবুতর পালন করেন। একে সঠিক পরিচর্যা দিলে খুব সহজেই বাড়তি কিছু আয় করা সম্ভব।

-এসআইএস/এসবিডেস্ক

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
Must Read
- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img