নিজস্ব প্রতিবেদক: গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় স্বামী-শ্বাশুড়ি মিলে পারভীন আক্তার (২৮) নামের এক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে শনিবার সন্ধ্যায় সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের দিনমজুর শাবদুল ইসলামের শারিরীক প্রতিবন্ধী মেয়ে পারভীন আক্তারের (২৫) সঙ্গে ওই গ্রামের খজিবুর রহমানের ছেলে আবদুল হাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আবদুল হাই পারভীনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এতে পারভীন অন্তস্বত্তা হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা এক মাস আগে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে দেওয়া দেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে পারভীনের গর্ভের চার মাসের বাচ্চা নষ্ট করতে শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিসী বৈঠকও হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পূণরায় স্বামী ও শাশুড়ি মিলে পারভীনের ওপর নির্যাতন শুরু করে। খবর পেয়ে ওই রাতেই মুমূর্ষ অবস্থায় পারভীনকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে পারভীন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমার পেটের বাচ্চাকে আমি মারতে দিমোনা। কিন্তু আমার স্বামী ও শাশুড়ি তাকে মারতে কয়। আমি রাজি হয় নাই। তাই ওরা আমারে অত্যাচার করে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মেজবাহ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েক দফা সালিস করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্বামী আবদুল হাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-এসআইস/এমএস