সাইফুল ইসলাম সানি: কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। আওয়ামী লীগকে মানুষ আর ভোট দিতে চায়না। আওয়ামী লীগ ভোট ছাড়া আরো হয়তো একশ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে। তবে সারাবিশ্বের মানুষ শেখ হাসিনাকে তখন মহিলা স্বৈরাচার বলে আখ্যায়িত করবে। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মানুষ স্বৈরাচার বলুক এটা অন্তত আমি চাইনা। বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা ডাকবাংলো চত্বরে ভোট ডাকাতি দিবস পালন উপলক্ষে স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতালীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আন্তর্জাতিক প্রশংসা পেতে পারেন। কিন্তু সখীপুর, কালিহাতির ভোট পাবেননা। পদ্মা সেতুতে মানুষের পেট ভরেনা। আমাদের গ্রামের ছেলেরা বিদেশ থাকে। তারা বিদেশে না থাকলে গ্রামের মানুষ না খেয়ে থাকতো। ওখানে চাকুরী করে বলে হাতে কিছু টাকা আছে। এজন্যে গ্রামে আকাল পড়ে নাই। এটা সরকারের কোনো কৃতিত্ব নাই।
তিনি বলেন, আজ ভোট ডাকাতি দিবস। অনেকেই আওয়ামী লীগকে ভোট ডাকাত বলতে সাহস পাচ্ছেন না। নানা জায়গায় আলোচনা হচ্ছে- কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যাবে; নাকি আওয়ামী লীগ কাদের সিদ্দিকীর কাছে আসবে। অনেকে আমাকে বলেন, আপনি আ.লীগে যাবেন, কবে যাবেন। এটা তারাই জানেন আমি জানিনা।
জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক বলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে- অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। কারো প্রশংসা বা সমালোচনা করা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করিনা। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। যতদিন বেঁচে থাকবো বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে লালন করেই বাঁচবো। কারণ বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ নয়; তিনি সারা বাংলাদেশের সম্পদ।
সখীপুর ডাকবাংলো চত্বরে দলটির উপজেলা কমিটির সভাপতি আতোয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হালিম সরকার লাল, টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সভাপতি এড. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জুলফিকার শামীম, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের সভাপতি হাবিবুন নবী সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে প্রতিবছর দিনটিকে দলটি ভোট ডাকাতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।