সোমবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
Homeসখীপুরফালুচাঁন শাহ’র মেলা- প্রকাশ্যে গাঁজার আসর বসতে দেয়া হবে না

ফালুচাঁন শাহ’র মেলা- প্রকাশ্যে গাঁজার আসর বসতে দেয়া হবে না

- Advertisement -spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুরে ঐতিহ্যবাহী ফাইল্যার (ফালুচাঁন শাহ) মেলা শুরু হয়েছে। প্রতি বছরের মত এবারো মাজার সংলগ্ন এলাকায় রঙ-বেরঙের দোকানপাট বসেছে। পূষ মাসের পূর্ণিমার রাতে সবচেয়ে বড় মেলা হলেও সারা মাসই থাকবে মানতকারী মানুষের আনাগোনা। মেলা উপলক্ষে প্রতি বছর মাজারের পাশেই পাগল ভক্তরা আসর বসায়। তবে এ বছর প্রকাশ্যে পাগল ভক্তদের গাঁজার আসর বসতে দেয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন সখীপুর থানার ওসি মাকছুদুল আলম।
মেলা উদযাপন কমিটি ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে ফালুচাঁন শাহ’র মাজার ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে এ মেলা উদযাপন হয়ে আসছে। লোকমুখে মেলাটি ফাইল্যা পাগলের মেলা হিসেবেই বেশি পরিচিত। প্রতিদিন দুর-দুরান্তের হাজার হাজর লোকজন মানত করা মোরগ, খাঁসি, গরু ও মোমবাতিসহ নানা রকম পণ্য সামগ্রী নিয়ে এসে লালমাটির পাহাড়ী এলাকা দাড়িয়াপুর এক মিলন কেন্দ্রে পরিণত করে। মেলায় হিন্দু মুসলমানসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ যোগ দেয়। মেলা চলবে আগামি ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
তবে অভিযোগ রয়েছে ফালুচাঁন শাহ’র পাগল ভক্ত-আশেকানরা মাজারের চারপাশে প্রকাশ্যে গাঁজার আসর বসান। ওই আসরে স্থানীয় লোকজন ও যুবকরাও যোগ দেয়। এতে মেলা চলাকালীন সময়ে ওই এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি লেগে যায়।
এ বিষয়ে মেলার এক পর্যটক বলেন, ‘পাগল ভক্তদের গাঁজার আসর মাজার প্রাঙ্গণ থেকে দূরে সরিয়ে অনত্র দিলে সাধারণ ভক্ত ও পর্যটকদের মাজার জিয়ারত এবং পরিদর্শন করতে সুবিধা হত। মাজারের চারপাশে গাঁজার উৎকট গন্ধে দমবন্ধ অবস্থা হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম মুঠোফোনে সখীপুর বার্তাকে বলেন, ‘মেলার নিরাপত্তার জন্যে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করা হয়েছে। গাঁজাসহ সকল প্রকার মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ। যুবকতো দূরের কথা; কোনো পাগল ভক্তকেও প্রকাশ্যে গাঁজার আসর বসাতে দেয়া হবেনা।’
মেলা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন মাস্টার জানান, ‘এ বছর ১০ দিনব্যাপী মেলা উৎযাপনের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভক্তরা যতক্ষণ থাকবে মেলাও ততোরাত ব্যাপী চলবে। আগামি ৬ জানুয়ারি মেলা শেষ হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০০৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে মাজারের কাছে আকস্মিক ভাবে পরপর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৮ জন নিহতসহ আরও ১৫ জন হাত, পা ও চোখ হারিয়ে গুরুতর আহত হয়। এরপর কয়েক বছর রাতে মেলা নিষিদ্ধ ছিল। দিনে পুলিশী পাহাড়ায় মেলা হত।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
Must Read
- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img