নিজস্ব প্রতিবেদক: ০৩ ফেব্রুয়ারি : সখীপুরে সৎ ছেলের মারধরে রেখা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত রেখা বেগম উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিমা বংকী গ্রামের মীর ওসমান গণির স্ত্রী। মারধরের পরই নিহতের স্বামী মীর ওসমান গণি তার ছেলে সোহেল রানাকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর রাতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে রেখা বেগমকে তার সৎ ছেলে সোহেল রানা ওরফে শাহজাহান, তার স্ত্রী রূপা আক্তার, তার আপন মা সাজেদা বেগম, বোন আছমা আক্তার ব্যাপক মারধর করে।
গুরুতর আহত রেখাকে প্রথমে সখীপুর ও পরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের স্বামী মীর ওসমান গণি স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে বড় ছেলে সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে চারজনের নামে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
মীর ওসমান গণি জানান, সোহেল তার আগের ঘরের (প্রথম স্ত্রীর) সন্তান। ঘটনার রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেলসহ চারজনে মিলে তার সৎ মা রেখা বেগমকে পেটে বেদম মারধর করে।
সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আগেই মারধরের অভিযোগে মামলা করা আছে। আসামিরা জামিনে রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপরই মামলার পরবর্তী করনীয় নির্ধারণ করা হবে।