নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে নেমেছেন আপন দুই ভায়রা ও মামা ভাগ্নে এবং একই কলেজের ৩ শিক্ষক। এ নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। এদের কেউ-কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন তাঁরা। প্রচারণায় পার করছেন ব্যস্ত সময়। চালাচ্ছেন জোর লবিং।
উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত শিকদার ও বোয়ালী কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ সর্ম্পকে আপন ভায়রা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তাঁরা দলীয় মনোনয়ন চান। গেলো সংসদ নির্বাচনেও ওই দুই ভায়রা আ.লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।
উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান শরীফ পান্না ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু সর্ম্পকে মামা-ভাগ্নে। তাঁরাও দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। লেবু প্রয়াত এমপি শওকত মোমেন শাহজাহানের ছোট ভাই এবং পান্না তাঁর ছোট বোনের ছেলে। এ দিকে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রেনুবর রহমান একই কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক রফিক-ই-রাসেল ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খানও দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, বোয়ালী কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক রফিক-ই-রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান শরীফ পান্না, ডিএম শরিফুল ইসলাম শফি, গোলাম কিবরিয়া বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান, হাতিবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, কালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, অধ্যক্ষ রেনুবর রহমান ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন দলীয় সর্মথন পেতে মাঠে রয়েছেন।
