-
ইসমাইল হোসেনঃ
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে কোনোটিতেই নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। এরই মধ্যে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ১৭টি ক্লিনিকের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীরা ঝুঁকির মধ্যেই চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রসূতি মা ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে, মেঝে দেবে গেছে, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। অধিকাংশ ক্লিনিকের নলকূপের মাথাসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খোয়া গেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় সংশ্লিষ্টদের জন্য দেওয়া ল্যাপটপগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। সূত্রটি আরও জানায়, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), একজন স্বাস্থ্য কর্মী ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রসূতি মা ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেন। বিশেষ করে প্রসূতিকে প্রসবের আগে এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়েও তারা পরামর্শ ও সেবা দেন। সরেজমিন যাদবপুর বেড়বাড়ী বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে দেখা গেছে, ভবনের দেওয়ালে অসংখ্য বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, ফাটলের কারণে ছাদ রক্ষাকারী বিম হেলে পড়েছে, টিউবওয়েল অকেজো এবং বাথরুমটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেবা নিতে আসা প্রসূতি মা জাহানারা বলেন, ভাঙা বিল্ডিংয়ে আসতে ভয় করে। এরপরও চিকিৎসা নিতে এখানে আসতে হয়। মহানন্দপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রোভাইডার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, দেওয়ালের অবস্থা নড়বড়ে, ভেঙে পড়ার ভয়ে রোগীরা ভেতরে বসেন না। রোগীদের কথা চিন্তা করে বাজারে একটি ঘর নিয়ে চিকিৎসাসেবা চালু রাখা হয়েছে। বগা প্রতিমা কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রোভাইডার আশিকুর রহমান বলেন, ক্লিনিকের মাত্র ১০ ফুট দূরেই বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। অথচ এ ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বেলায়েত হোসেন বলেন, এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।