করোনা মোকাবেলার অযুহাতে আবারও ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা মোকাবেলায় বিশেষ ক্ষমতা পেয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আর সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছে সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি মঙ্গলবার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান।

রাখাইনে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানোর জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন লি। রাখাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ‘রাখাইন আর্মি’র সঙ্গে দীর্ঘদিন সংঘাত চলছে সেনাবাহিনীর।

লি অভিযোগ করেছেন, রাখাইনে শত শত বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৌদ্ধদের একটি আশ্রমে আক্রমণ করে সেনাবাহিনী। শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছে। অনেককে শিরোশ্ছেদ করা হয়েছে। আমরা তাদের রাখাইনের বাসিন্দা হিসেবে চিহ্নিত করেছি।

এ ঘটনাকে ‘মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন লি। এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।

সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড বিষয়ে লির অভিযোগের বিষয়ে জানতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে সিএনএন।

লি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ রাজনৈতিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত মার্চে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা প্রভাবিত মন্ত্রীকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়। এতে করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা আরও বেড়ে গেছে।

এই অতিরিক্ত ক্ষমতাবলেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘যুদ্ধাপরাধ’র মতো কর্মকাণ্ড ঘটানোতে দ্বিগুণ উৎসাহ পাচ্ছে বলে মনে করেন লি।

লি স্বীকার করেছেন, আরাকান আর্মির হাতেও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন রাখাইনের অনেক বেসামরিক মানুষ।

 

-এসবি/সানি

Author: sp-admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *