নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে যুদ্ধাহত এক মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের ঘটনায় সাত আসামীেেক গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে তাদেরকে সখীপুর পৌরশহরের তালতলা চত্ত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা মারপিটের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- বছির উদ্দিন (৭৭), খোরশেদ মিয়া (৫৬), আবদুল হামিদ (৭০), শাহিদা আক্তার (২৭), বাদল মিয়া (২২), কাউছার (১৮), ও রাজিব মিয়া (২২)। তাদের বাড়ি উপজেলার শোলাপ্রতিমা গ্রামে। রবিবার দুপুরে আসামীদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। সখীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গাজী আবদুল কাদেরকে প্রতিবেশি আবদুর রাজ্জাক ও তার দলবল নিয়ে গত ৫ মে বিকেলে তাকে মারপিট করা হয়। এতে তার দু হাত ও পাজরের হাড় ভেঙে যায়। এসময় বাড়ির আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই আহত আবদুল কাদেরের ছেলে কামরুল হাসান বাদী হয়ে আবদুর রাজ্জাকসহ ১০ জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মে বিকেলে প্রতিবেশী আবদুর রাজ্জাক তার লোকজন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরের স্ত্রী রহিমা পারভীনকে মারধর করে। পরে ঘটনার রাতেই হামলাকারী আবদুর রাজ্জাকসহ সাতজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আবদুল কাদের। এ মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আবদুর রাজ্জাক ও তার দলবল নিয়ে গত ৫ মে বিকেলে ওই মামলার বাদী গাজী আবদুল কাদেরের উপর হামলা করে। এতে তাঁর দু হাত ও পাজরের হাড় ভেঙে যায়। এসময় বাড়ির আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার নিউ লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার আইও থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক জানান, রবিবার ভোরে আসামীদের সখীপুর পৌরশহরের তালতলা চত্ত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা মারপিটের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে গোপনে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। রবিবার দুপুরে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে, আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সখীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড শনিবার দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।