নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজার বাংলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবারের বৃষ্টিতে এ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ বিষয়ে ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
ইউএনও বলছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড্রেন নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঠিক বলেননি বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ওই বাংলোতে গিয়ে দেখা যায়, বাংলোর নীচতলার ফ্লোর ছুঁইছুঁই করে নোংরা পানি জমে আছে। অতিবৃষ্টিতে নির্বাহী অফিসারের বাংলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। ড্রেনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে নানা রকম পোকা- মাকড়-সাপ খেলা করছে। ইউএনও`র স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু বাংলোর ড্রেনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যানের বাসার ভেতর দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করতে দেবেন না বলে শ্রমিদের বিদায় করে দিয়েছেন। ফলে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নোংরা পানি থেকে দুগর্ন্ধ বের হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা যাচ্ছেনা।
বৃষ্টির পর ইউএনও`র বাংলোর জলাবদ্ধতার চিত্র।
অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার লেবু ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউএনও`র বাংলোসহ কয়েকটি কোয়াটারের পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ড্রেন করতে উপজেলা পরিষদের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইউএনও`র বাংলো থেকে যে ড্রেনটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছিল, তা পরিকল্পিত নয়। এটা হলে সার্বিক জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবেনা। তাছাড়া আমার বাসার ভেতর দিয়ে ড্রেন হলে তিনটি টিনের ঘর ও দেয়াল ভাঙতে হবে।
Leave a Reply