
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোন পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী এক মাসেও স্কুল-কলেজ খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এই বন্ধের মধ্যেও সখীপুর উপজেলার শাহীন স্কুল বড়চওনা শাখা মাসিক বেতন আদায়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানাভাবে চাপ দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহীন স্কুল বড়চওনা শাখার পরিচালক জালাল উদ্দিন নিজেই বেতন আদায়ের জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সেক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নম্বর পাঠানোর পাশাপাশি কল দিয়েও টাকা দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক বলেন, মহামারীর এই সময়ে ব্যবসা গুটিয়ে বসে আছি। পুঁজি থেকে টাকা নিয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে। এখন না পড়িয়েও যদি সন্তানের স্কুলের বেতন দিতে হয়, তাহলে আমরা যাবো কোথায়? মাহামারীর এই সময়ে নিয়মিত বেতন না দিলে সন্তানকে স্কুল থেকে বের করে দিতে পারে বা পরবর্তীতে রেজাল্ট খারাপ দেয়া হতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করছেন অভিভাবক। সে কারনে বাধ্য হয়েই বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে। আরেক অভিভাবক বলেন, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি। কিন্তু মহামারীর এই সময়ে বেতন হচ্ছে না। তবে সন্তানের স্কুল থেকে বেতনের জন্য চাপ প্রয়োগ করায় বেতন দিতে হয়েছে। তারা সময়টা বুঝতে চাচ্ছে না। সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়ে আছি।
ওই শাখার পরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, আমরা শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না। এই সময়ে শিক্ষকদেরও টাকার প্রয়োজন আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাড়াসহ আরো অনেক খরচ আছে, সেসব কোথা থেকে এনে দেব?
প্রসঙ্গত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সেই সাথে কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে টিউশন ফি এবং মাসিক বেতন আদায়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপ প্রয়োগ না করে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়।