মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
Homeজাতীয়করোনা থামাতে পারেনি ঈদ আনন্দ, সখীপুরে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়

করোনা থামাতে পারেনি ঈদ আনন্দ, সখীপুরে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড়

- Advertisement -spot_img

ইসমাইল হোসেন: মহামারি করোনা ভাইরাসে ঝিমিয়ে পড়েছে সারাদেশ। প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ ছিল গণপরিবহন ও বিভিন্ন পর্যটন স্থানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেকারণে ঘরে বসেই কাঁটাতে হয়েছে অবসর সময়। গেল ঈদুল ফিতরের আনন্দ ঘরে বসেই পোহাতে হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস এ বছর পবিত্র ঈদুল আযহায় আনন্দ থামাতে পারেনি। সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল নকিল বিলে ও কাকড়াজান ইউনিয়নের পলাশতলীতে দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। ঈদ বিনোদনের অংশ হিসেবে করোনা ঝুঁকি উপেক্ষা করে নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে চারপাশ। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে উপজেলার পলাশতলী শাইল সিন্দুর খালে ছুটে চলছে ছোট বড় অনেক নৌকা। হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠছেন সবাই। বড় বড় ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে। রাস্তার দু-ধারে ছিটে আসা সেই জলরাশি ছুঁয়ে মজা করছেন সবাই। ঈদের আনন্দে রঙিন হয়ে উঠেছে ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের মন। নৌকায় ঘন্টা চুক্তিতে ও নির্দিষ্ট স্থানে ঘুরতে চুক্তি করে ঘুরে বিনোদন দিচ্ছে মাঝিরা। এরই সঙ্গে বড়চওনা-কালিহাতী সড়কের দু’পাশে বসানো হয়েছে হরেক রকমের খেলনা, বাঁশি, বেলুন, খাবারসহ অনেক রকমারি দোকান। ঘুরতে আসা এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৬ মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সন্তানরা আর ঘরে থাকতে চাচ্ছেনা। তাই ঈদ বিনোদনের অংশ হিসেবে পরিবার নিয়ে করোনা ঝুঁকি নিয়ে ঘুরতে এসেছি। রহমান আলী নামের এক নৌকার মাঝি বলেন, ‘ঈদের সময় এই হানে প্রচুর মানু (মানুষ) আহে। প্রতিদিনই ৫শ থেকে ৮শ টেহা কামাই করন যায়। সেই টেহা দিয়ে ভালো কইরাই কয়েকদিন চলন যায়। যদি হারা বছরই এবা থাকতো! স্থানীয় বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, পলাশতলীতে ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে শুরু হয় দর্শনাথীদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে তা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। পুরো মাসই এখানে প্রকৃতি ও বিনোদন প্রেমীদের উপস্থিতি থাকে। তবে দর্শনাথীরা কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলেও তিনি জানান।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
Must Read
- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img