নিজস্ব প্রতিবেদক: সখীপুর পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস কাশেমকে (৪১)গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সখীপুর মোখতার ফোয়ারা চত্বর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। স্ত্রী ও সন্তানদের স্বীকৃতি দাবি ও ধর্ষণের অভিযোগে লাকী আক্তার নামের এক নারীর করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইলিয়াস কাশেম সখীপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বঙ্গনূর মাস্টারের ছেলে। পুলিশ ও ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইলিয়াস কাশেম দশ বছর আগে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মো.আক্কাছ আলীর মেয়ে লাকী আক্তারকে (৩০) বিয়ে করে। স্ত্রী পরিচয়ে সখীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছে। দশ বছরে তাদের ঘরে দু’টি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিছুদিন ধরে ইলিয়াস কাশেম ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে। একইভাবে দু’টি সন্তানকে তার সন্তান নয় বলেও দাবি করে কাশেম। এমন অবস্থায় দুটি সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে ওই নারী। মঙ্গলবার স্ত্রী ও সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতির দাবিতে সখীপুর থানায় মামলা করেন লাকী আক্তার। ওই মামলায় ইলিয়াস কাশেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার বাদী লাকী আক্তার বলেন, কাশেম দশ বছর আগে আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করে। আমাদের ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কাশেমই আমার স্বামী এবং আমার সন্তানদের বাবা। তিনি বলেন,আমি শুধু আমার সন্তানদের পিতৃ পরিচয়ের স্বীকৃতি দাবি করছি।আমার ছোট দুটি সন্তান নিয়ে কি খাবো। কোথায় দাঁড়াবো। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।, লাকী আক্তার, ইলিয়াস কাশেম ও দুই শিশুর ডি এন এ টেস্টের অনুমতি চেয়ে আদলতে আবেদন করা হয়েছে। তবে ইলিয়াস কাশেম ঘটনাটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও সাজানো বলে দাবি করেছেন।
Leave a Reply