নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া শহীদদের স্মৃতি চির জাগরুক রাখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ, স্মৃতিসৌধ ও ভাস্কর্য। তেমনি টাঙ্গাইলের সখীপুরেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক বহেড়াতৈল নামক স্থানে শপথস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এবং এটিই বাংলাদেশে একমাত্র শপথস্তম্ভ হিসেবে আখ্যায়িত ছিল বলে উদ্যোগ গ্রহণকারী কাদেরিয়া বাহিনীর পক্ষ থেকে জানা গেছে।
সখীপুর সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে কচুয়া-আমতৈল-বহেড়াতৈল সড়কের বহেড়াতৈল বাজারের পাশেই নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শপথস্তম্ভ। স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণউৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে ১৯৯৮ সালে শপথস্তম্ভের উদ্বোধন করার কথা ছিল। তৎকালীন সংসদ সদস্য বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের উদ্যোগেই শপথস্তম্ভটি নির্মিত হয়েছিল। স্তম্ভটির চত্ত্বরের পাশেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গণকবর। এরপর দীর্ঘ ২৪ বছর পেরিয়ে গেলেও শপথস্তম্ভটি অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে।
আশ পাশে ঝোপঝাড়ে ছেয়ে গেছে। উঁচুনিচু টিলা আকৃতির জায়গার উপর বিস্তৃর্ণ স্তম্ভটি ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে তুলতে এবং এর সৌন্দর্য বজায় রাখতে সখীপুর-বাসাইলের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার থেকে শপথস্তম্ভটির আশ পাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার অভিযান শুরু করেছেন। এসময় ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম বছির, আ. মান্নান, আনিছুর রহমান, ইদ্রিস আলী, দেলখুশ মিয়া, তুলা মিয়া, আ. খালেক, ইয়াসিন আলী, ঠান্ডু মিয়া, উপজেলা আ.লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম নবু, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ওয়াদুদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল সরকার, বহেড়াতৈল গণ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী বিএসসি, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সোনা মিয়াসহ স্থানীয় আ.লীগের নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধের শপথস্তম্ভটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অবহেলায় পড়ে আছে। এর আগে অনেক নেতা ও এমপি নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কেউই করে নাই। তবে এবার এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্তম্ভটি প্রকৃত মর্যাদা পাবে বলে আশা করি।
Leave a Reply