নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দোকানের সাটার অর্ধেক খোলা। সামনে বা গলির মুখে দায়িত্বে আছেন একজন। তিনি দেখছেন প্রশাসন বা পুলিশ আসছে কি না।
আসলেই দেয়া হচ্ছে সংকেত; সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হচ্ছে দোকান। কিছুক্ষণ পর প্রশাসন বা পুলিশ চলে গেলে আবার সাটার খোলা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। চলমান কঠোর লকডাউনে দোকান খোলা ও বন্ধের এমন ব্যবস্থাকে স্থানীয়রা রসিকতা করে বলছেন ‘চোর-পুলিশ খেলা’।
সরেজমিনে উপজেলার, কচুয়া, বড়চওনা, কুতুবপুর, ইন্দারজানি, নলুয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ দোকানের অর্ধেক অংশ খোলা রেখে চলছে বেচা-কেনা। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্ব। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। থানা পুলিশ দিন-রাত কাজ করছে।
উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করলেও তোয়াক্কা করছেন না স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে পুলিশ আসার খবর পেয়ে সবাই দোকান বন্ধ করে। পুলিশ চলে গেলে অনেকেই দোকানের সাটারের অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা করছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ দিন-রাত মাঠে কাজ করছেন। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী বলেন, কঠোর লকাডাউন পালনে উপজেলা প্রশাসন কঠোর ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কাজ করছে। লকডাউন অমান্য করীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
Leave a Reply