নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন-এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার পোস্টকামুরী গ্রামের বাড়িতে তাঁর তৃতীয় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বুধবার বাদ যোহর মির্জাপুর সরকারি এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাঁর দ্বিতীয় জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সালাউদ্দিন আশরাফীর ইমামতিতে বাদ যোহর মির্জাপুর সরকারি এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, তাঁর দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, মির্জাপুর প্রেসক্লাব এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মৃতদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, সানোয়ার হোসেন এমপি, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ ও একাব্বর হোসেন এমপি’র একমাত্র ছেলে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত।
কিডনিজনিত অসুস্থতার কারণে একাব্বর হোসেন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতেন। গত ১৯ অক্টোবর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করাতে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ২০ অক্টোবর সিটিস্ক্যান রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানতে পারেন তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখান থেকে পরের দিন তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। ২৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন অষ্টম, নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। একাব্বর হোসেন ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলার পোষ্টকামুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
Leave a Reply