নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরে ইউপি নির্বাচনের জামানত হারাচ্ছেন চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষিত ফলাফলে নির্ধারিত ভোটের চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় বহেড়াতৈল, যাদবপুর ও বহুরিয়া ইউনিয়নের চার প্রার্থী তাঁদের জামানত ফিরে পাবেন না।
নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার টাকা করে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউনিয়নের সব ভোটকেন্দ্রে (কাস্টিং ভোট) পড়া মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ বা ১২.৫ শতাংশ ভোট পেতে হয়।
শুক্রবার সখীপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বহেড়াতৈল ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী কামরুল হাসান (জিসু) হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২৬ ভোট। একই ইউনিয়নের জাতীয় পার্টি-জেপি -এর প্রার্থী আলতাব হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ ভোট। ওই ইউনিয়নে মোট কাস্টিং ভোট ১৫ হাজার ৬০৭টি। যার ১২.৫ শতাংশ হবে ১ হাজার ৯৫০ ভোট।
অন্যদিকে যাদবপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৭ ভোট। ওই ইউনিয়নে মোট কাস্টিং ভোট ১৭ হাজার ২০৬টি। যার ১২.৫ শতাংশ হবে ২ হাজার ১৫০ ভোট।
এ ছাড়া বহুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস আনারস প্রতীকে ১ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়েও জামানত হারাচ্ছেন। কারণ ওই ইউনিয়নের মোট কাস্টিং ভোটের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৯৫টি। যার ১২.৫ শতাংশ হবে ২ হাজার ১১২ ভোট।
এ বিষয়ে ওই তিন ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা আতাউল হক বলেন, কোনো প্রার্থী যদি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে মোট কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম ভোট পান, তবে তিনি তাঁর নির্ধারিত জামানত ফিরে পাবেন না।