মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
Homeসখীপুরসখীপুরে খেলার মাঠ দখলের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

সখীপুরে খেলার মাঠ দখলের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

- Advertisement -spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সখীপুরের বহেড়াতৈল গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে কচুয়া-আমতৈল-বহেড়াতৈল সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। দুপুর দেড়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন কর্মসূচিতে শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও এলাকাবাসীও অংশ গ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি দখল মুক্ত করতে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ উদ্দিন, বহেড়াতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি সোহেল সরকার, প্রধান শিক্ষক সাদেকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা বছির উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ওই খেলার মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে আসছে। বিভিন্ন জাতীয় ক্রিড়া প্রতিযোগিতাও এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর পর প্রশাসনের লোকজন এনে রবিবার (২৪ জুলাই) বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বেড়া, গাছ রোপন ও ঘর নির্মাণ করে জোরপূর্বক দখলে নেন জনৈক নূরুল ইসলাম গংরা। অর্ধশত বছরের পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ কীভাবে অন্যদের জমি আমরা বোধগম্য নই। দ্রুত দখল মুক্ত চাই খেলার মাঠটি। আমরা স্থানীয় সংসদ সদেস্যর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খেলার মাঠটি উদ্ধারের আবেদন করছি। দখল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্দোলন চলবে বলেও জানান তারা। ওই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিবা, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাত জানায়, হঠাৎ করেই আমাদের খেলার মাঠে পুলিশের গাড়ি দেখে অবাক হয়ে যাই। পরে দেখি অনেক লোকজন, মাঠের চারপাশে বেড়া, গাছ রোপন এবং ঘর নির্মান হচ্ছে। আমাদের খেলার মাঠ দখল হতে দেবনা। আমরা আজকে থেকেই আন্দোলন করছি, আরো আন্দোলন করবো।

প্রসঙ্গত: প্রায় অর্ধ শত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি স্থানীয় নূরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিজের জমি দাবি করে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় হাইকোর্ট তাঁর পক্ষে রায় দেয়। আদালতের নির্দেশে বিদ্যালয়ের মাঠ, বীট অফিসসহ প্রায় ৩ একর জমি তিনি দখল বুঝে নিয়ে মাঠে স্থাপনা ও বৃক্ষ রোপন করেন।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
Must Read
- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img