
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরে মসজিদ ও মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ইমামকে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার সখীপুর-কালিয়ান সড়কের বেতুয়া গ্রামে ঘন্টা ব্যাপী এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ বিক্ষোভ মিছিলে এলাকার পাঁচ শতাধিক মুসুল্লি ও জনতা অংশ নেয়। এতে বক্তৃতা করেন বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই মসজিদে সাবেক সভাপতি মো. ওয়াদুদ হোসেন, মৌলানা আবদুল মান্নান, ইউপি সদস্য মো. আনিসুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক, মো. আজাহারুল ইসলাম প্রমুখ।
স্থানীয় মুসুল্লিরা জানায়, গত মঙ্গলবার বেতুয়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ ও বিশ্বনবী হাফেজিয়া মাদ্রাসা’র বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ওই মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম মুফতি আবু রায়হান হাবীবীকে মাইক দিয়ে ডেকে নিয়ে মাহফিল শেষে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন পীরজাদা আতাউর রহমান ফারুখ। ওই মাহফিলের মিলাদে ইমাম সাহেব কিয়াম না করায় ইমামকে ব্যাতি রেখে ওই পীরজাদা নিজেই মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ নিয়ে মুসুল্লিদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়। তারই প্রক্ষিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে এলাকাবাসী।
ওই মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম মুফতি আবু রায়হান হাবীবী বলেন, আমাকে মাইকে ডেকে নেয় ওয়াজ মাহফিলের সভাপতি পীরজাদা আতাউর রহমান ফারুখ সাহেব। তিনি মাহফিল শেষে আমাকে অকথ্য ভাষায় কথা বার্তা বলেন। আমি মিলাদে কিয়াম করি নাই বলে আমাকে মোনাজাত করেত দেননি তিনি। এতে মুসুল্লিরা মনে করেন আমাকে অপমান করা হয়েছে। তাই তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, এই মসজিদে কিছু মুসুল্লি মিলাদে কিয়াম করেন না তাদেরকে ফারুখ পীর সাহেব জোরপূর্বক কিয়াম করাবেন। কিয়াম না করায় এর আগে আরও দুইজন ইমামকে নাজেহাল করে তাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এ কিয়াম নিয়ে মসজিদে ঝামেলা হওয়ায় কিছু দিন আগে উপজেলার আইন শৃংখলার বিশেষ মিটিংয়ে এই মসজিদে মিলাদ ও কিয়াম করতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরেও এই কিয়াম করা নিয়ে ইমাম সাহেবকে ডেকে নিয়ে অপমান করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এই মসজিদে যদি আবারও মিলাদে কিয়াম করা হয় তাহলে মুসুল্লিরা আরও ক্ষিপ্ত হবে।
–এসবি/ডেস্ক