
নিজস্ব প্রতিবেদক: নান্দনিকতা ও সৃজনশীলতার ছোঁয়া লেগেছে উপজেলা লাইব্রেরিতে। ভেঙে চুরমার করে বদলে দেওয়া হয়েছে এর অবয়ব। দেয়াল জুড়ে লেগেছে রং তুলির আঁচড়। হয়েছে দৃষ্টিনন্দন । একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা তার ষোলআনা না থাকলেও কমতি নেই অনেক কিছুর। এই সৃজনশীল কাজের পেছনে রয়েছে আরেক সৃষ্টিশীল মানুষের শুভ চিন্তা চেতনার স্পর্শ ।যাঁর পরম মমত্ববোধ, ভালোবাসা ও একাগ্রতায় এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি প্রকৌশলী ফারজানা আলম।সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। শুক্রবার সখীপুর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি’র পুনঃনির্মাণ ও সমৃদ্ধকরণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। কেবিএম রুহুল আমীন ও অনন্য অপরাহ্ণের আবৃত্তি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচন করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল, পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, চর্যাযোগী প্রফেসর আলীম মাহমুদ, সিনিয়র সহকারী সচিব আমীন শরীফ সুমন,লাইব্রেরি’র সম্পাদক অধ্যক্ষ কেবিএম খলিলুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল গফুর,সখীপুর বার্তার সম্পাদক শাকিল আনোয়ার প্রমুখ। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, সহকারী কমিশনার জাকিয়া সুলতানা, অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত লতিফ এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।। বক্তারা লাইব্রেরিটি নান্দনিক করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলমকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া সবাইকে লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ে আলোকিত মানুষ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখতে আহ্বান জানান। এটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলম বলেন, উপজেলা লাইব্রেরিতে গিয়ে আমার ভালো লাগেনি। এটি আরো নান্দনিক ও আধুনিক হওয়া দরকার। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য শিল্প সাহিত্যের দিক থেকে সখীপুর অনেক এগিয়ে। এখানে একটি আধুনিক লাইব্রেরি প্রয়োজন। তখন থেকেই চিন্তা করছি কীভাবে এটা করা যায়। সবার সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। আমার মেধা মনন দিয়ে অনেক যত্নকরে লাইব্রেরিটিকে সাজানো হয়েছে। আশা করি সবাই এখানে আসবে। বই পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখতে পারেন। এছাড়া লাইব্রেরি এসবে সাংস্কৃতিক চর্চা ও আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।