শনিবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
Homeমতামতফাটল ধরা ভবনে স্বাস্থ্যসেবা, ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত আবাসিক ভবন

ফাটল ধরা ভবনে স্বাস্থ্যসেবা, ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত আবাসিক ভবন

- Advertisement -spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সখীপুরের বহেড়াতৈল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনে ফাটল ধরেছে। ওই ফাটল ধরা ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক ভবনটিও প্রায় ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সন্ধ্যা নামলেই ওই আবাসিক ভবন মাদকসেবীদের দখলে চলে যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বহেড়াতৈল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে জানা গেছে, মূল ভবনের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের (সেকমো) কক্ষ, অপারেশন থিয়েটার (ওটি) ও পরিদর্শিকার কক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কক্ষগুলোর ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে, খসে পড়ছে পলেস্তারা। সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ায় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, চেয়ার-টেবিল ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের অতিরিক্ত একটি কক্ষেই অন্তঃসত্ত্বা, মা ও শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া গত ছয়মাস ধরে বন্ধ রয়েছে গর্ভবতীদের ডেলিভারি কার্যক্রম।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক ভবনটি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত। দুই ইউনিট বিশিষ্ট ভবনের একটি ইউনিট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের (সেকমো) জন্যে অপরটি স্বাস্থ্য পরিদর্শিকার জন্যে বরাদ্দ। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় ভবনে আস্তানা গড়ে তুলেছে মাদকসেবীরা। দরজা-জানালার রড, গ্রিল খুলে নেওয়াসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে। বিকেল গড়াতেই মাদকসেবীদের আনাগোনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী ও কর্মকর্তারা।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) রংলাল চন্দ্র সরকার বলেন, এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন রোগী সেবা গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালে অফিস সহকারী মারা গেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ফার্মাসিস্ট নেই এবং ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় প্রয়োজনীয় কক্ষেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এসব কারণে নিয়মিত সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

উপজেলার ডাবাইল গ্রামের গর্ভবতী মা রুমি আক্তার জানান, ফাটল ধরা ভবনেই ভয় নিয়ে ডাক্তার দেখাইলাম। কারণ, এ ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নাই। এই অবস্থায় সাত থেকে আট কিলোমিটার দূরে সদর হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন ভবন নির্মাণ ও দুটি শূন্যপদের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ওষুধপত্র ও অন্যান্য বিষয়ে কোন সমস্যা নেই।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
Must Read
- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img