ফিলিস্তিনি যুবককে বুকে গুলি করে হত্যা করল ইসরায়েল, আহত ৮

0
51
সংগৃহীত ছবি ফাইল ছবি

অনলাইন: অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি শরণার্থীশিবিরে হামলার সময় ইসরায়েলি বাহিনী শুক্রবার এক ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এদিন স্থানীয় সময় ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তর তুলকারেম শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালালে মাহমুদ জারাদ (২৩) বুকে গুলিবিদ্ধ হন। ইসরায়েলি সেনারা অগণিত গোলাবারুদ ও নিক্ষেপ করে। এ ছাড়াও ক্যাম্পের বাসিন্দাদের ছাদে অবস্থানরত স্নাইপাররাও গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ জারাদকে থাবেত থাবেত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালের পরিচালক আমিন খাদের প্যালেস্টাইন টিভিকে বলেছেন, এ হামলায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ওপর আধিপত্য বিস্তারকারী ফাতাহ পার্টি বলেছে, জারাদ তাদের গোষ্ঠীর একজন সদস্য ছিলেন। কিন্তু তারা তাকে যোদ্ধা হিসেবে দাবি করেনি। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের সশস্ত্র সামরিক শাখার সঙ্গে সম্পৃক্ত তুলকারেম ব্রিগেড একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, তারা ‘সশস্ত্র সংঘর্ষ ও উন্নত বিস্ফোরক যন্ত্রের মাধ্যমে তুলকারেম শিবিরে ইসরায়েলি অনুপ্রবেশের জবাব দিয়েছে’।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী থেকে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি বাহিনী নাবলুস শহরের কাছে বৃহস্পতিবার একটি অভিযান পরিচালনার সময় এক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কয়েক মাস ধরে সেনাবাহিনী তার অনুসন্ধান করছিল।

ইসরায়েলি অভিযান, ফিলিস্তিনি গ্রামে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের তাণ্ডব এবং ফিলিস্তিনি রাস্তায় হামলায় দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা গত ১৫ মাস ধরে আরো খারাপ হয়েছে। জাতিসংঘের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, জানুয়ারি থেকে কমপক্ষে ১৯৬ ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত হয়েছে। ওয়াফার মতে, এ বছর নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা কমপক্ষে ২২০। ইসরায়েল পশ্চিম তীরে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে সামরিক শাসনের অধীন করে নেয়। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় তারা অঞ্চলটি দখল করেছিল। তারা বসত নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে, যা বেশির ভাগ দেশের কাছে অবৈধ বলে বিবেচিত। পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা ২০১৪ সালে বন্ধ হয়, যা পুনরায় শুরু হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।

তুলকারেম এলাকার দুটি শিবিরে প্রায় ৪০ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু সংস্থায় নিবন্ধিত। তারা হলো ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু, বা তাদের বংশধর, যাদের ইহুদিবাদী আধাসামরিক গোষ্ঠী জোরপূর্বক বিতাড়িত করেছে বা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের সৃষ্টির সময় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছিল।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here